লন্ডনের মেয়র সাদিক খান শহরে শরিয়া আইন জারি করতে চান—মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জাতিসংঘে এমন দাবি করলেও তা ‘অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।
বৃহস্পতিবার জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আইটিভি লন্ডনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টারমার বলেন,
“শরিয়া আইন প্রবর্তনের ধারণাটি অর্থহীন। সাদিক খান একজন ভালো মানুষ এবং দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ। ট্রাম্পের সঙ্গে আমার দ্বিমত সাধারণত কমই হয়, তবে এবার সে ভুল করেছে।”
ট্রাম্প-সাদিক খান সম্পর্ক
২০১৬ সালে লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন সাদিক খান। এরপর আরও দুইবার জয়ী হয়ে বর্তমানে তিনি ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সরাসরি ম্যান্ডেট পাওয়া রাজনীতিবিদদের একজন।
ট্রাম্প ও খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এর সূচনা ২০১৭ সালে, ট্রাম্পের মুসলিম দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে সাদিক খানের বক্তব্য থেকে।
সাদিক খানের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাবে সাদিক খান বলেন,
“তিনি একজন বর্ণবাদী, লিঙ্গবাদী, নারী বিদ্বেষী এবং ইসলামোফোবিক ব্যক্তি।”
তিনি আরও বলেন,
“বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যক আমেরিকান ব্রিটেনে বসবাস করতে আসছেন, যা প্রমাণ করে ট্রাম্পের বক্তব্য বাস্তবতা থেকে কতটা দূরে।”
ট্রাম্পের বক্তব্য
জাতিসংঘে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প ইউরোপের অভিবাসন নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন,
“লন্ডন এখন শরিয়া আইনের পথে হাঁটছে,”
এবং মেয়র সাদিক খানকে আখ্যায়িত করেন “ভয়ানক, ভয়ঙ্কর মেয়র” হিসেবে।
এই মন্তব্যের ফলে আবারও উত্তপ্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনের রাজনৈতিক আলোচনায় পুরনো এক বিতর্ক।



